নিজস্ব প্রতিবেদক
জনতার বাণী,
ঢাকা: আদালত অবমাননার
অভিযোগে ইসলামী
ছাত্রশিবিরের সভাপতি
আবদুল জব্বার ও সাধারণ
সম্পাদক মো. আতিকুর
রহমানের বিরুদ্ধে জারি
করা রুলের জবাব দাখিলের
দিন পিছিয়ে ১৪ জুন
তারিখ পুনর্নির্ধারণ
করেছেন আন্তর্জাতিক
অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
রবিবার শিবিরের দুই
নেতার রুলের জবাব
দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
তবে তাদের আইনজীবী
অ্যাডভোকেট শিশির মো.
মনির জবাব দাখিলের জন্য
চার সপ্তাহের সময়ের
আবেদন করলে বিচারপতি
এম ইনায়েতুর রহিমের
নেতৃত্বে তিন সদস্যের
ট্রাইব্যুনাল তা পিছিয়ে
১৪ জুন তারিখ পুনর্নির্ধারণ
করেন।
এসময় প্রসিকিউশনের পক্ষে
উপস্থিত ছিলেন
প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার
তুরিন আফরোজ ও তাপস
কান্তি বল।
একই অভিযোগে শো’কজ
(কারণ দর্শাও) নোটিশ
জারি করা হয়েছিল
শিবিরের দুই নেতাসহ
জামায়াত
নেতাদের আইনজীবী
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম
এবং তিন জামায়াত
নেতার বিরুদ্ধেও।
বিভিন্ন সময়ে ওই ছয়জন এ
নোটিশের জবাব দেন।
জবাবে নি:শর্ত ক্ষমা
প্রার্থনা করায়
অ্যাডভোকেট তাজুল
ইসলামকে এবং ব্যাখ্যা
গ্রহণযোগ্য হওয়ায় তিন
জামায়াত নেতাকে গত ৪
মে ক্ষমা করে দেন
ট্রাইব্যুনাল।
একইসঙ্গে তাদেরকে
ভবিষ্যতের জন্য এ ধরনের
কাজ থেকে বিরত থাকতে
সতর্ক করে দেওয়া হয়।
তবে দুই শিবির নেতার
ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য না
হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে রুল
জারি করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের
বিরুদ্ধে হরতাল ডাকা ও
বিরুপ মন্তব্য করায় গত ১২
জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে
আদালত অবমাননার
অভিযোগ এনে এ কারণ
দর্শাও (শো’কজ) নোটিশ
দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
নোটিশে কেন তাদের
বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার
অভিযোগ আনা হবে না-
তা জানতে চেয়েছিলেন
ট্রাইব্যুনাল। ২৮ জানুয়ারি
তাদেরকে সশরীরে হাজির
হয়ে অথবা আইনজীবীর
মাধ্যমে এর ব্যাখ্যা দিতে
বলা হয়।
২৮ জানুয়ারি
অ্যাডভোকেট তাজুল
ইসলামের পক্ষে সুপ্রিম
কোর্ট আইনজীবী সমিতির
সাবেক সাধারণ সম্পাদক
ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা
বাদল ও অ্যাডভোকেট রুহুল
কুদ্দুস কাজল লিখিত ব্যাখ্যা
দাখিল করে নি:শর্ত ক্ষমা
প্রার্থনা করেন। অন্যদিকে
জামায়াত-শিবির
নেতাদের আইনজীবী
ব্যাখ্যা দিতে সময়ের
আবেদন জানান।
কয়েক দফা সময় নিয়ে গত ১৫
এপ্রিল জামায়াত-
শিবিরের ৫ নেতার পক্ষে
শো’কজ নোটিশের জবাব
দিয়ে শুনানি করেন তাদের
আইনজীবী মশিউজ্জামান ও
তারিকুজ্জামান।
প্রসিকিউশনের পক্ষে
শুনানি করেন প্রসিকিউটর
জেয়াদ আল মালুম ও
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
গত ১ জানুয়ারি সংগঠন
হিসেবে জামায়াত এবং
ওই ছয়জনের বিরুদ্ধে
ট্রাইব্যুনালে আদালত
অবমাননার অভিযোগ
দাখিল করেছিলেন
প্রসিকিউশন। ৫ জানুয়ারি এ
অভিযোগের শুনানি নিয়ে
১২ জানুয়ারি আদেশের
দিন ধার্য করেছিলেন
ট্রাইব্যুনাল। ১২ জানুয়ারির
আদেশে সংগঠন হিসেবে
জামায়াত বাদে বাকি
ছয়জনকে শো’কজ করেন
ট্রাইব্যুনাল।
একাত্তরে
মানবতাবিরোধী
অপরাধের দায়ে গত বছরের
৩০ ডিসেম্বর জামায়াতের
সহকারী সেক্রেটারি
জেনারেল এটিএম আজহারুল
ইসলামকে ফাঁসিতে
ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন
ট্রাইব্যুনাল-১।
এ রায়ের প্রতিবাদে ৩১
ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি
দু’দিনের হরতাল ডাকে
জামায়াত। বিবৃতিতে এ
রায়ের প্রতিক্রিয়ায়
নানা বিরুপ কথা বলেন
জামায়াত-শিবিরের শীর্ষ
পদে থাকা নেতারা।
অন্যদিকে রায়ের
প্রতিক্রিয়ায় আজহারের
আইনজীবী তাজুল ইসলাম
বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে
প্রসিকিউশন যে সাক্ষ্য-
প্রমাণ দিয়েছেন, সেটা
গ্রহণ না করে ডাস্টবিনে
ছুঁড়ে ফেলা হলেই সুবিচার
হতো’।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় যে
সাক্ষ্য ও প্রমাণের
ভিত্তিতে জামায়াতের
সহকারী সেক্রেটারি
জেনারেল এটিএম আজহারুল
ইসলামকে ফাঁসির রায়
দেওয়া হয়েছে তা এক
‘অষ্টম আশ্চর্যজনক ঘটনা’ বলেও
মন্তব্য করেন তাজুল।
এসব অভিযোগে ১
জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের
রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ওই
সাতজনের বিরুদ্ধে
অভিযোগ দাখিল করেন
প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত,
জেয়াদ আল মালুম, সুলতান
মাহমুদ সীমন, ব্যারিস্টার
তুরিন আফরোজ, তাপস
কান্তি বল, রেজিয়া
সুলতানা চমন।
