নিউজ ডেস্ক
জনতার বাণী,
ঢাকা: তেল সমৃদ্ধ দেশগুলোর জোট ওপেক তেলের
উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হওয়ায়
তেলের দামে আরেক দফা ধস নামতে পারে বলে
পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত রবিবার কাতারের রাজধানী দোহায় ওপেকের এক
বৈঠকে তেলের উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে কোনো
মতৈক্য হয়নি। এরপরই ফের তেলের দাম কমতে শুরু
করে।
তবে গত কয়েক দিনে তেলের দাম ফের বেড়ে এখন গত
মাসের মধ্যে ঊর্ধ্বে অবস্থান করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি তেলের দাম কিছুটা
বাড়লেও তা হবে ক্ষণস্থায়ী।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার উড বলেন, প্রতি
ব্যারেল তেলের দাম ২০ ডলারের নীচে নেমে আসতে
পারে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস
ইন্টারমিডিয়েটে প্রতি ব্যারেল অশোধিত তেলের
দাম ছিল ৪৪.৪৫ ডলার।
তেলের উৎপাদন নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান
নিয়েছে সৌদি আরব এবং তার আঞ্চলিক
প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান।
তেলের দাম কমায় সৌদি অর্থনীতিতে বড় ধরনের
ধাক্কা লাগলেও ইরান বলছে, তারা তেলের উৎপাদন
কমাবে না, বরং বাড়াবে।
ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণেই দোহা
বৈঠকে কোনো চুক্তিতে উপনীত হতে পারেনি
ওপেকভুক্ত দেশগুলো।
এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের
দাম গত এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্নে অবস্থান করলেও
বাংলাদেশে এখনো দাম কমানো হয়নি। সম্প্রতি
ফার্নেস অয়েলের দাম কমানো হলেও তা মূলত বিদ্যুৎ
উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশে ডিজেল, কেরোসিন ও অকটেনের দাম
কমানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ রয়েছে।