নিজস্ব প্রতিবেদক
জনতার বাণী,
ঢাকা: অসুস্থতার কারণে দুর্নীতির দুই মামলায় বৃহস্পতিবার
আদালতে হাজিরা দিতে যাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম
খালেদা জিয়া।
বুধবার সকালে বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবী
সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিবরণ
থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ
থেকে শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-এর নামে ৪২ কাঠা জমি
কেনা হয়।
কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩
হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে
দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে
পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের
নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ
লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে
অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা
জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির
অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের
(দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
অন্যদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১
হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া,
তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই
রমনা থানায় আরো একটি মামলা করে দুদক।
এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন
খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট
দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় জামিন বাতিল করে
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পরে ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তিনি।
গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে
দুর্নীতির দুই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয়
বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
