নিজস্ব প্রতিবেদক
জনতার বাণী,
ঢাকা: জনগণের ভোগান্তির তোয়াক্কা না করে
দলীয় ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করার জন্যই গ্যাস-
বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ
করেছেন সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি
অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘জনগণের ভোগান্তির তোয়াক্কা না
করে, জাতীয় অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাবের দিকে
না তাকিয়ে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো দলীয়
ব্যবসায়ীদের অবৈধ মুনাফা বৃদ্ধির পাঁয়তারা।’
অবিলম্বে গ্যাস-বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের
দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার দুপুরে সুপ্রীম কোর্ট অডিটোরিয়ামে সুপ্রীম
কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সংবাদ
সম্মেলনে এ দাবি জানান মাহবুব।
তিনি বলেন, ‘যেখানে বিশ্ববাজারে জ্বালানি
তেলের দাম ও উৎপাদন খরচ প্রায় তিনগুণ কমে এসেছে
সেখানে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো সরকারি
দলের দুর্নীতির রসদ যোগানো এবং দলীয়
ব্যবসায়ীদের পকেট ভারি করার প্রক্রিয়া ছাড়া আর
কিছুই নয়।’
২৭ আগস্ট বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন
গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ২.৯৩ শতাংশ এবং
গ্যাসের দাম ২৬.২৯ শতাংশ বাড়িয়েছে। ১
সেপ্টেম্বর থেকে তা কার্যকরের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সরকার দরপত্র ছাড়া সমঝোতার মাধ্যমে অদক্ষ ও
অযোগ্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কুইক রেন্টাল
বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বলে
অভিযোগ করেন তিনি।
বর্ষীয়ান এই আইনজীবী বলেন, ‘সময়মতো
বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন না করে পূর্ণ উৎপাদনে যাওয়ায়
কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। তার পরও উচ্চমূল্যে
বিদ্যুৎ কেনার প্রক্রিয়া কেন নবায়ন হচ্ছে? কুইক
রেন্টালের কারণে লোকসানের গ্লানি এত ভয়াবহ
পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফান্ড
পর্যন্ত ভাঙা হচ্ছে।’
এ সময় সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ
সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন,
‘দেশে ৫০ হাজার আইনজীবী সমাজ থেকে বিছিন্ন
নয়। রাষ্ট্রের যে কোনো ব্যাপারে বক্তব্য থাকা
উচিত। তাই আমরা আজ গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির
প্রতিবাদ করছি।’
গ্যাস-বিদ্যুতের দাম সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে
বাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন—সুপ্রীম
কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি মুক্তার
কবির খানসহ সমিতির অন্য সদস্যরা।
