আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির নেতা থেকে শুরু করে দলটির শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তাদের সেই দুর্নীতির বিচার করায় দলটি এখন দুর্নীতিবিরোধী অভিযান নিয়ে চেচামেছি করছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘ইনডেমনিটি- এক কালো অধ্যায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দুর্নীতি করেন তাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা অ্যাকশন নিতে পারেন। ওনি (বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান) যে দুর্নীতির কারণে মুচলেকা দিয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন, তাকে তো দুটি গালিও দিতে পারেন না। ওনারা আজকে বড় বড় কথা বলছেন। এতিমের টাকা যারা চুরি করে, ওনারা তো তাদের বাদ দেয়ার মতো শক্তিও রাখেন না।’
‘আমি শুধু ওনাদের দিকে তাকিয়ে বলতে চাই- আমাদেরকে দুর্নীতির জিরো টলারেন্স আপনারা শেখাবেন না। তার কারণ হচ্ছে আপনাদের নেতা থেকে শুরু করে, আপনাদের দলের প্রত্যেকে মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ঢুবে আছে। আমরা আপনাদের বিচার করছি বলেই আজকে আপনাদের এতো চিল্লাচিল্লি।”
ক্যাসিনো ও জুয়ার বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, ‘অন্যায় যারা করে তাদেরকে ধরার সাহস শেখ হাসিনার আছে, সে যে দলেরই হোক, যে কেউ হোক। ’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা আইনের শাসন মানেন বলেই আইনের মাধ্যমে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ যে একটি কালো আইন সেটা প্রমাণ করার সুযোগ দিয়েছেন এবং প্রমাণ করেছেন। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা করিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যার বিচার এ দেশে হয়েছে।
‘জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। যুদ্ধাপরাধী এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা করেছেন তাদের বিচার হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে। আমরা দেখেছি যত অন্যায় আছে সবকিছুর বিচার কিন্তু শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে’ যোগ করেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি জিয়াউর রহমানের আমলে কি হয়েছিল। আমরা দেখেছি আমাদের পিতা-মাতা কীভাবে অত্যাচারের শিকার হতেন। আমাদের লজ্জা ঢাকার জায়গা ছিল না- যখন খুনি রশিদ, খুনি ফারুক বক্তৃতা দিত ফ্রিডম পার্টির নামে। আমরা এসব দেখেছি। কিন্তু আমাদের বর্তমান প্রজন্ম, ভবিষ্যত প্রজন্ম এগুলো দেখেনি। তাদেরকে এসব জানাতে হবে। ‘
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে কালোদিবস পালন করার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সেই দিবস পালন করা এবং শেষ হবে ১২ নভেম্বর। ১২ নভেম্বর শেষ হবে কারণ ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয় ।‘
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তারানা হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- অভিনেতা ড. এনামুল হক, আজিজুল হাকিম, রিয়াজ, আমিরুল হক ও মান্নান হিরা।