নিজস্ব প্রতিবেদক
জনতার বাণী,
ঢাকা: ঢাকা মহানগর
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)
যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম
বলেছেন, সবকিছু বিবেচনায়
এটাই প্রতীয়মান হয়েছে-
রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের
জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে
এমপিপুত্র বখতিয়ার আলম রনির
পিস্তলের গুলিতে।
তিনি বলেন, ‘বস্তুগত তথ্য ও
পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং
প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দী
অনুযায়ী এটা এখন অনেকটাই
প্রমাণিত- রনির পিস্তলের
গুলিতে নিউ ইস্কাটনে দুজন
নিহত হয়।’
বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর
পুলিশের (ডিএমপি) মিন্টো
রোডের মিডিয়া সেন্টারে
এক সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল
ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রনি আমাদের
কাছে গুলি করার বিষয়টি
স্বীকার করলেও ১৬৪ ধারায়
আদালতে জবানবন্দী দিতে
রাজি হননি।’
ডিবির এই যুগ্ম-কমিশনার বলেন,
‘সকল মামলায় ১৬৪
(স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দী) হয় না। মামলাটি
ওয়েল ডিটেকটেড। আদালতে
মামলাটি প্রমাণ করতে
কোনো অসুবিধা হবে না।
কারণ ব্যালাস্টিক রিপোর্ট
এবং প্রত্যক্ষদর্শীর
জবানবন্দীসহ পর্যাপ্ত
সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রনি চার দফায়
১৪ দিনের মতো রিমান্ডে
রয়েছে। রনি যদি স্বেচ্ছায়
জবানবন্দী দিতে চায়,
তাহলে তাকে বৃহস্পতিবার
আদালতে পাঠানো হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল
বলেন, ‘যেহেতু এটা রনির
পিস্তল, এটা অন্য কারোর
কাছে ছিল না। ওইদিন সে
ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলে
স্বীকার করেছে। তবে
আমাদের তদন্তে প্রমাণ
হয়েছে, রনির গুলিতেই
ইস্কাটনে দুজন মারা গেছেন।’
জোড়া খুনের ঘটনায় দায়ের
মামলায় রনিকে গতকাল
মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় দুদিনের
রিমান্ড দিয়েছে আদালত। এর
আগে গত ৯ ও ২৪ জুন ঢাকা
মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমান
রনির চার দিন করে মোট আট
দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রনি মহিলা আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত)
ও সংরক্ষিত আসনের এমপি
পিনু খানের ছেলে। তার
বাবা মৃত শামছুজ্জামান।
মামলার অভিযোগ থেকে
জানা গেছে, ১৩ এপ্রিল রাত
পৌনে দুইটার দিকে
রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে
একটি কালো রঙের প্রাডো
গাড়ি থেকে এলোপাথাড়ি
গুলি ছুঁড়লে তাতে
অটোরিকশাচালক ইয়াকুব
আলী ও রিকশাচালক আবদুল
হাকিম আহত হন। পরে ঢাকা
মেডিকেল কলেজ
হাসাপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা
যান তারা।
