নিজস্ব প্রতিবেদক : অমর একুশে গ্রন্থমেলার নবম দিন বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল এবং ড. আশফাক হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।
বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে প্রাবন্ধিক বলেন, ‘বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা বিচিত্র ও বহুব্যাপ্ত। ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁক নিয়ে বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা অব্যাহত আছে। প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক যুগের ইতিহাসচর্চার ধারাবাহিকতায় ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসচর্চার নতুন অভিমুখ তৈরি করেছে। পাশাপাশি স্থানীয় ইতিহাস চর্চাও সামগ্রিক ইতিহাস গবেষণার ধারায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।’
অধ্যাপক মেসবাহ কামাল এবং ড. আশফাক হোসেন বলেন, স্বচ্ছ ইতিহাসচেতনা ব্যতীত মুক্তচিন্তার সমাজ গঠন সম্ভব নয়। আমাদের ইতিহাসচর্চায় গবেষকগণ তাদের মেধা ও মননের স্বাক্ষর রেখেছেন। এক সময়ে বাংলা ভাষায় উচ্চতর ইতিহাস গবেষণা দুর্লভ হলেও সাম্প্রতিক সময়ে মাতৃভাষায় ইতিহাস চর্চায় গবেষকরা বিশেষ মনোযোগী হয়েছেনÑ যা আমাদের আশাবাদী করে তোলে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘বাংলা ভাষায় ইতিহাস চর্চা স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র এবং এর প্রগতিশীল পথচলার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সাম্প্রতিক সময়ে তরুণ ইতিহাস গবেষকরা বাংলার ইতিহাসের অনালোচিত অঞ্চল থেকে শুরু করে যুদ্ধাপরাধ-মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনের ইতিহাস-অন্বেষায় যে গুরুত্ব দিয়েছেন তা তাৎপর্যপূর্ণ।’
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন, দিল আফরোজ রেবা, আকরামুল ইসলাম এবং পাগলা বাবলু। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় (তবলা), গাজী আবদুল হাকিম (বাঁশি), ফিরোজ খান (সেতার) এবং এম এম রেজা বাবু (বাংলা ঢোল)।