আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্লক রেইডের কারণে রাজধানীর অধিকাংশ বাড়িওয়ালা ব্যাচেলরদের বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরামের (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়।
বুধবার রাজধানীর রির্পোর্টাস ইউনিটিতে বোয়াফ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, রাজধানীর অনেক খালি বাসায় ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া দেওয়া হবে না বলে মালিকরা সাইনবোর্ড ঝুঁলিয়েছে। আবার অনেক ব্যাচেলরদের বলা হচ্ছে, ‘বাড়ি ছাড়তে না চাইলে ভাড়া বাড়িয়ে দিতে হবে’। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্লক রেইড ও ঢালাওভাবে জঙ্গি ইস্যু ছড়ানোর কারণে ব্যাচেলররা এই সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ছে।
তিনি বলেন, রাজধনীতে প্রায় দেড়কোটি মানুষের বসবাস, এরমধ্যে ৪৫ থেকে ৫০ লাখ ব্যাচেলর এই শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে জিম্মিদশায় আছেন। তাদের এই জিম্মিদশা যেন দিন দিন প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে। রাজধানীর ব্যাচেলরদের নতুন বছর শুরু হয় ভাড়া বৃদ্ধির আতঙ্কের মধ্য দিয়ে। বাড়তি ভাড়া না দিতে পারলে ছেড়ে দিতে হয় বাড়ি। এর সঙ্গে এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে জঙ্গিবাদ নামের নতুন ইস্যু।
এ সব সমস্যা দ্রুত সমাধান না করতে পারলে ব্যাচেলরদের দুর্ভোগের পাশাপাশি দেশের আর্থিক, সামাজিক, শিক্ষা ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তিনি জানান।
১৯৯১ সালের বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন যুগোপযোগী নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ আইনে বাড়ি ভাড়া নির্ধারণের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ। এতে বাড়ি ভাড়া সম্পর্কে ‘মানসম্মত ভাড়া’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। মানসম্মত ভাড়া সম্পর্কে আইনের ১৫(১) ধারায় বলা হয়েছে, বাড়ির বাজার মূল্যের ১৫ শতাংশ বার্ষিক বাড়ি ভাড়া দিতে হবে। কিন্তু বর্তমানে ছোট একটি ফ্ল্যাটের বাজার মূল্য ৫০ লাখ টাকা। সেই হিসেবে বার্ষিক ১৫ শতাংশ ভাড়া ধরলে তা আসে ৭ লাখ টাকা আর ১২ মাস দিয়ে তা ভাগ করলে দেখা যায় ছোট একটি ফ্ল্যাটের মাসিক ভাড়া আসে ৬২ হাজার ৫০০ টাকা। এতেই বোঝা যায় আইনটি যুগোপযোগী নয়।
আইনটি পরিবর্তন করে যুগোপযোগী করতে সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, আমাদের সময়ের সহযোগী সম্পাদক ও বার্তা প্রধান হুমায়ুন কবির খোকন ও যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রমুখ।