নিউজ ডেস্ক
জনতার বাণী
ঢাকা:
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ। সারা বিশ্বের
মতো আজ বাংলাদেশেও সরকারি-বেসরকারি
উদ্যোগে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনটি
উদযাপিত হবে।
বিশ্বের উন্নত দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে
বাংলাদেশের নারীরা আজ রাজনৈতিক
নেতৃত্ব, গার্মেন্ট শিল্প তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যবসা,
উদ্যোক্তা, সাংবাদিকতা, এভারেস্ট জয় খেলা,
সৃষ্টিশীল এমনকি যুদ্ধবিমান চালানোতেও
সফলতার স্বাক্ষর রাখছেন। আন্তর্জাতিক নারী
দিবসের ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ।
১৮৫৭ সালের আজকের এই দিনে আমেরিকার নিউ
ইয়র্ক শহরে একটি সুচ কারখানার মহিলা
শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্রে মানবেতর জীবন যাপন
করছিলেন। ওই সময় ১২ ঘণ্টা কর্মদিবসের বিরুদ্ধে
নারীরা আন্দোলনে সোচ্চার হন। ফলে তাদের
ওপর নেমে আসে পুলিশি নির্যাতন।
১৮৬০ সালের একই দিনে ওই কারখানার নারী
শ্রমিকরা ‘মহিলা শ্রমিক ইউনিয়ন’ গঠন করে
সাংগঠনিকভাবে আন্দোলন পরিচালনা করেন। এ
আন্দোলনের ফলে ১৯০৮ সালের ৮ই মার্চ প্রায় ১৫
হাজার নারী শ্রমিক নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা, ভালো
বেতন এবং ভোটের অধিকারের দাবি নিয়ে নিউ
ইয়র্ক নগরীতে মিছিল করেন।
১৯১০ সালের ৮ই মার্চ কোপেনহেগেন শহরে
অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে
জার্মানির নেত্রী কারা জেটকিন এই দিনটিকে
‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা
করেন। ১৯১১ সালে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য
দিয়ে ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস
হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৮৫ সালের ৮ই মার্চকে
জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে
স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে
প্রথমবার এ দিবস পালন করা হয়।
আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে
প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে
বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বিস্তারিত
কর্মসূচি পালন করবে। দেশের সফল নারীদের
কাজের স্বীকৃতি জানাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।