প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঝালকাঠির
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নলছিটি উপজেলার
দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন
স্বামী-স্ত্রী। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী
প্রার্থী হিসেবে মিজানুর রহমান ও স্বতন্ত্র
প্রার্থী হিসেবে তার স্ত্রী সুমনা রহমান
প্রার্থীতা বাছাই, প্রত্যাহার ও প্রতিক বরাদ্দ
দেয়ার সকল পর্বেই তারা প্রতিদ্বন্দ্বি
হিসেবে চুড়ান্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার প্রতিক বরাদ্দকালে মিজানুর
রহমান আনারস এবং তার স্ত্রী সুমনা রহমান
পেয়েছেন মোটোর সাইকেল প্রতিক । প্রতিক
পেয়েই স্বামী মিজানুর রহমান প্রচার
প্রচারণা শুরু করলেও স্ত্রী সুমনা রহমান
প্রচারণা শুরু করেননি।
সুমনা রহমান বলেন, “এলাকার জনসাধারণের
সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ দিনের সুখ-দুঃখ, সুবিধা-
অসুবিধা ও ভালো-মন্দ ভাগাভাগি করে নেই।
এ জন্য জনগণ আমাকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে
স্বর্তস্ফুর্ত সমর্থন দেয়ায় নির্বাচনে অংশ
নিচ্ছি। তিনি বলেন, আমার স্বামী মিজানুর
রহমান ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের
সঙ্গে জড়িত। আমরা আশা করছিলাম আওয়ামী
লীগ থেকে আমার স্বামীকেই মনোনয়ন দিবে।
কিন্তু আমার স্বামীকে মনোনয়ন না দিয়ে
জামায়াত নেতার সন্তান, দীর্ঘ দিন বিএনপির
রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থেকে সদ্য আওয়ামী
লীগে যোগ দিয়ে নব্য আওয়ামী লীগ নেতা
হয়ে যাওয়া বাবুলকে মনোনয়ন দেয়। তাই
জনগণের দাবি পূরণ করতে গিয়ে আমি এবং
স্বামী দু’জনেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করি এবং
জমা দেই। আশংকায় ছিলাম সরকারদলীয়
মনোনীত প্রার্থী যদি কোন ষড়যন্ত্র করে
আমার স্বামীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে
তাহলে আমি প্রার্থী হিসেবে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবো। কিন্তু সৌভাগ্যের
কারণে কোন বিপদ না হওয়ায় আমরা দু’জনেই
এখন প্রার্থী।”
মিজানুর রহমান জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশা
প্রকাশ করে বলেন, “আমি দীর্ঘ দিন থেকেই
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত
থেকে এলাকার জনসাধারণের সুখ-দুঃখের
অংশিদার হয়েছি। জনগণের দাবি এবং
চাহিদা পূরণ করার জন্যই আমি নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।”
সূত্র: মানবকণ্ঠ/এসএইচএম/এফএইচ
