নিউজ ডেস্ক
জনতার বাণী,
ঢাকা: নির্বাচনে
ব্যাপক কারচুপি আর
অর্থের বিনিময়ে
প্রার্থী মনোমনয় বিষয়ে
টিআইবির প্রকাশিত
প্রতিবেদনের কড়া
সমালোচনা করেছেন
বাণিজ্যমন্ত্রী
তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘এই
সংস্থাটি কখনো চোখে
ভালো কিছু দেখে না।
তারা শুধু নেগেটিভ
দেখে।’
সোমবার দুপুরে
সচিবালয়ে সচিবালয়ে
সাংবাদিকদের কাছে
এসব কথা বলে আওয়ামী
লীগের উপদেষ্টা
পরিষদের এই সদস্য।
এর আগে সকালে টিআইবি
তাদের ধানমন্ডি
কার্যালয়ে সংবাদ
সম্মেলন করে তিন সিটি
করপোরেশন নির্বাচনের
পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন
তুলে ধরে।
এতে তাদের ভাষ্যে, তিন
সিটি নির্বাচনে
প্রার্থীদের অতিরিক্ত
ব্যয়, নির্বাচনে অনিয়ম,
কারচুপি, জালভোট
প্রতিরোধে নির্বাচন
কমিশনের ব্যর্থতা এত
বেশি যে, গত মাসের
শেষের দিকের এই
নির্বাচনকে
কোনোভাবেই অবাধ,
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বলা
যায় না।
তিন সিটির অনিয়মের জন্য
নির্বাচন কমিশনকে
দায়ীও করে
দুর্নীতিবিরোধী
আন্তর্জাতিক সংস্থার
বাংলাদেশ অংশ
টিআইবি।
আজ সচিবালযে ভারতের
বাণিজ্য সচিব রাজীব
খেরের সঙ্গে বৈঠক করেন
বাণিজ্যমন্ত্রী। বৈঠক
শেষে টিআইবির
প্রতিবেদন প্রসঙ্গে
সাংবাদিকরা জানতে
চাইলে তিনি বলেন, ‘শুধু
টিআইবি নয়। আরো কিছু
সংস্থা রয়েছে, যারা
বর্তমান সরকারের
নেগেটিভ ছাড়া ভালো
কিছুই দেখে না।’
তোফায়েল বলেন, ‘পানি,
বিদ্যুৎ, সড়ক ও
বাণিজ্যে ব্যাপক
অগ্রগতি করেছে বর্তমান
সরকার। টিআইবি এসব উন্নয়ন
দেখতে পায় না। ২১ বছরের
স্থলসীমান্ত চুক্তি
বাস্তবায়ন, বঙ্গবন্ধুর
দৌহিত্রের নির্বাচনে
বিজয় অর্জনেও
সংস্থাটির চোখ
নির্বিকার।’
নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি
টিআইবির প্রতিবেদনের
তথ্য অসত্য উল্লেখ করে
তিনি বলেন, নির্বাচনে
কোনো সহিংতার ঘটনা
ঘটেনি, তাও দেখতে পায়
না। শান্তিপূর্ণ অবাধ,
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ
নির্বাচনকে সুষ্ঠু হয়নি
বলা উদ্দেশ্যমূলক।
বিএনপির নির্বাচনের সময়
আওয়ামী লীগের
নেতাকর্মীরা ঘরে
থাকতে পারেননি, এসবও
টিআইবি দেখতে পায় না
বলে মন্তব্য করেন
বাণিজ্যমন্ত্রী
তোফায়েল আহমেদ।
ভারতের বাণিজ্য সচিব
রাজীব খেরের সঙ্গে
বৈঠক বিষয়ে তিনি বলেন,
‘ভারত দীর্ঘদিন ধরে
তাদের রপ্তানিকৃত
২২৫টি পণ্যের ওপর
শুল্কমুক্ত সুবিধা
প্রদানের দাবি জানিয়ে
আসছিল। কিন্তু দেশীয়
পণ্যকে সুরক্ষা
প্রদানের লক্ষ্যে আমরা
এসব পণ্যে শুল্কমুক্ত
সুবিধা দিচ্ছি না। তবে
এবারের বৈঠকে ভারতের
স্পর্শকাতর ২২৫টি পণ্য
তালিকা থেকে ২৩টি
পণ্যকে ছাড় দেওয়া
হয়েছে।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন,
‘মদ ও অস্ত্র ছাড়া
বাংলাদেশের সকল পণ্য
রপ্তানির ওপর
শুল্কমুক্ত সুবিধা
দিয়েছে ভারত।
মুক্তবাজার অর্থনীতির
যুগে আগামীতে আস্তে
আস্তে কোনো
স্পর্শকাতর পণ্যের ওপরই
হয়তো বা শুল্ক থাকবে
না।’
দু-দেশের বাণিজ্য সচিব
পর্যায়ের বৈঠক
প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সব
কিছু বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ সফরে এলে
বাণিজ্য চুক্তিটি
নবায়ন করা হবে। এর আওতায়
বাংলাদেশের
ট্রান্সপোর্ট সরাসরি
নেপাল ও ভুটানে যেতে
পারবে। আগে যেখানে ২১
দিন লাগতো এখন সেটা
ছয়দিন লাগবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এছাড়া
সীমান্ত হাট নিয়ে
আলোচনা হয়েছে। এখন
তিনটি আছে। এর সংখ্যা
আরো বাড়ানো হবে।’
ভারতের বর্তমান
সরকারের প্রশংসা করে
তিনি বলেন, ‘ভারতের
বর্তমান সরকার
প্রতিবেশীগুলোর
সঙ্গে সম্পর্ক আরো
জোরদার করতে চায়।
অতীতের যেকোনো
সরকারের চেয়ে বর্তমান
সরকার অনেক বেশি
সহযোগিতামূলক। সবকিছু
এত সহজে হয়ে যাবে ভাবি
নাই। মনে হচ্ছে নতুন
দিগন্তের সূচনা হয়েছে।’
এ সময় ভারতের বাণিজ্য
সচিব বলেন, ভারতের
বর্তমান সরকার
প্রতিবেশী দেশগুলোর
সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক
বাণিজ্য ও যোগাযোগ
বাড়াতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, সচিব
পর্যায়ের বৈঠকে
বাণিজ্য চুক্তি
নবায়নসহ দুদেশের মাল্টি
ট্যাক্স ও অন্যান্য
ইস্যু নিয়ে আলোচনা
হয়েছে। আঞ্চলিক
সহযোগিতার মাধ্যমে
বাণিজ্যিক সুবিধা
অর্জন ও বাণিজ্য
বাড়ানো এবং দক্ষিণ
এশিয়া কমন মার্কেট
চালুর উপর গুরুত্বারোপ
করেন রাজীব খের।
ভারতের বাণিজ্য সচিব
চলে যাওয়ার পর অন্যান্য
বিষয় নিয়েও
সাংবাদিকদের সঙ্গে
কথা বলেন
বাণিজ্যমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে
তিনি বলেন, বাজেট
ঘোষণার পরও দেশের
অভ্যন্তরীণ বাজারে
নিত্য প্রয়োজনীয়
দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক
থাকবে এবং কোনো
পণ্যের দাম বাড়বে না।
তোফায়েল আহমেদ বলেন,
আসন্ন রমজান উপলক্ষে
সয়াবিন তেল, ডাল ও
চিনিসহ সকল পণ্যের মজুদ
যথেষ্ট রয়েছে। কোনো
পণ্যের সংকট কিংবা
সরবরাহের ক্ষেত্রে
কোনো সমস্যা হবে না
এবং দামও বাড়বে না।
তিনি বলেন, টিসিবির
মাধ্যমে সারাদেশে
পণ্য সরবরাহ সম্ভব নয়।
টিসিবি হচ্ছে
আপদকালীন মজুদের জন্য,
যাতে বাজারে কেউ
কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি
করতে না পারে।
