নিউজ ডেস্ক
জনতার বাণী,
ঢাকা: আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও
বিহারের মানস-সংকোশ-
তিস্তা-গঙ্গা নদী
সংযোগের কাজ হাতে
নেবে ভারত। শিগগিরই
সম্মতির জন্য সংশ্লিষ্ট তিন
রাজ্যের কাছে যাওয়া হবে।
সারাদেশে নদীগুলোকে
সংযুক্ত করার মহাপরিকল্পনার
অংশ হিসেবে ভারতের
কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার এ
ঘোষণা দেয়।
ভারত এই প্রকল্প বাস্তবায়নের
মাধ্যমে পানি প্রত্যাহার
করে নিলে নদীগুলোর
ভাটিতে থাকা
বাংলাদেশে ভয়াবহ বিপর্যয়
নেমে আসতে পারে। এতে
বাংলাদেশের
উল্লেখ্যযোগ্য অংশ মরুভূমিতে
পরিণত হতে পারে।
ভারত এমন সময় এ প্রকল্প
বাস্তবায়নের এ ঘোষণা
দিয়েছে, যখন তিস্তার
পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি
জোরদার করছে ঢাকা।
এছাড়া চুক্তি হলেও শর্ত
অনুযায়ী গঙ্গা পানির ন্যায্য
হিস্যাও পাচ্ছে না
বাংলাদেশ।
ভারত সরকারের দাবি,
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে
কেবল এই তিন রাজ্য যে সেচ ও
খাবার পানি সরবরাহ করা
সম্ভব হবে তা নয়, বরং
দক্ষিণাঞ্চলীয়
রাজ্যগুলোতেও উদ্বৃত্ত পানি
সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৯-২০০৪ সালের
এনডিএ সরকারের সময় গৃহীত
মোর্চা ৩০টি আন্তঃনদী
সংযোগ প্রকল্পের অংশ
হিসেবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন
করা হবে। বাংলাদেশ শুরু
থেকেই এ প্রকল্পের
বিরোধিতা করে আসছে।
আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প
(আইএলআর)-এর বিশেষ কমিটির
পঞ্চম বৈঠক শেষে ভারতের
কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ
প্রতিমন্ত্রী সানোয়ার লাল
ঝাট বলেন, সকল আনুষ্ঠানিকতা
সম্পন্ন করে চলতি বছরের শেষ
নাগাদ এ প্রকল্পে বাস্তবায়ন
কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, এসব প্রকল্প
বাস্তবায়ন সম্ভব হলে দেশের
পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা
বাস্তবায়নে প্রভূত অগ্রগতি
অর্জিত হবে।
