কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, জনতারবাণী
ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের সাতটি উপজেলার হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা সাহাদৎ হোসেন জানান,পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে জেলায় বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
ধরলা ও ব্রক্ষপুত্র নদের পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চরাঞ্চলসহ নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ায় ১০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সাহাদৎ হোসেন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রক্ষপুত্রে ২৯ সেন্টিমিটার, ধরলায় ৩০ সেন্টিমিটার, তিস্তায় ১ সেন্টিমিটার এবং দুধকুমার নদে ৩১ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি জানান, সদর উপজেলার পাঁচগাছি, যাত্রাপুর, ঘোগাদহ, ভোগডাঙা, হলোখানা, মোঘলবাসা, উলিপুরের বুড়াবুড়ি, সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ, হাতিয়া, চিলমারীর রাণীগঞ্জ, অষ্টমীরচর, নয়ারহাট, জোরগাছ ও চিলমারী সদর ইউনিয়নসহ ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী, রৌমারী ও রাজীবপুরের কয়েকটি ইউনিয়নের নিচু এলাকায় ঘরবাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাফুজার রহমান বলেন, কয়েকটি নদীর পানি আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় আগাম বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করতে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর ইউনিয়নের হলোখানার সারোডোব, বাংটুরঘাট, পাঁচগাছির ছড়ারপাড়, যাত্রাপুরের গারুহারা এবং চিলমারীর জেড়গাছে ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি।