আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জনতার বাণী,
কাঠমান্ডু: তুষারধসে মারা যাওয়ার ১৬ বছর পর
হিমালয়ের একটি হিমবাহে দুজন মার্কিন
পর্বতারোহীর মরদেহ পাওয়া গেছে।
বিশ্বখ্যাত পর্বতারোহী অ্যালেক্স লো তার
ক্যামেরাম্যান ডেভিড ব্রিজেসকে নিয়ে ১৯৯৯
সালের অক্টোবরে ২৬,২৯০ ফুট উঁচু তিব্বতের
শিশাপাংমা পর্বতারোহণের সময় তুষারচাপা
পড়েন।
বরফে জমাট অবস্থায় গত সপ্তাহে এই দুজন
পর্বতারোহীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে বরফে জমাটবাঁধা অবস্থায় আটকে থাকা
ওই দুই পর্বতারোহীর লাশ দেখতে পান অপর দুই
পর্বতারোহী।
এরপর শুক্রবার লোর স্ত্রী জেনিফার লো-আঙ্কের
তাদের লাশ খুঁজে পাওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তিনি
বলেন, তারা জমাটবদ্ধ হয়ে আছেন। নতুন স্বামী
কনরাড আঙ্কেরকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়াত স্বামীর
নামে একটি দাতব্য ফাউন্ডেশন পরিচালনা করছেন
জেনিফার।
বিবিসি বলছে, ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে বিশ্বখ্যাত
মার্কিন পর্বতারোহী অ্যালেক্স লো
পর্বতারোহীদের একটি দলের সঙ্গে তিব্বতে
অবস্থিত হিমালয়ের ৮,০১৩ মিটার (২৬,২৯০ ফুট)
উচ্চতার পর্বত শিখর শিশাপাঙ্গমায় আরোহণ শুরু
করেছিলেন। ওই দলের সঙ্গে ছিলেন ক্যামেরাম্যান
ডেভিড ব্রিজেস।
লোকে (৪০) তার প্রজন্মের অন্যতম সেরা পবর্তারোহী
হিসেবে বিবেচনা করা হতো। অন্য বেশ কয়েকজন
পবর্তারোহীকে উদ্ধার করে আনার কারণে
পবর্তারোহীদের মধ্যে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়
ছিলেন।
শিশাপাঙ্গমা অভিযানে লোদের সঙ্গে ছিলেন
জেনিফারের বর্তমান স্বামী আঙ্কের। ওই
বিপর্যয়ের সময় তিনিও লো ও ব্রিজেসের সঙ্গে
ছিলেন। কিন্তু সামান্য আঘাত পেয়ে বেঁচে যান।
তিনি ও অন্যান্য পর্বতারোহীরা কয়েকদিন ধরে লো
ও ব্রিজেসকে খুঁজে ফিরলেও তাদের সন্ধান পাননি।
২০০১ সালে লোর দুই সন্তানসহ বিধবা জেনিফারকে
বিয়ে করেন আঙ্কের।
অ্যালেক্স লো (বামে) এবং ডেভিড ব্রিজেস
গেল সপ্তাহে পর্বতারোহী ডেভিড গোয়েটলার ও
উয়েলি স্টেকের ফোন পেয়ে জেনিফার ও আঙ্কের
নেপাল যান। ফোনেই তারা লো ও ব্রিজেসের লাশ
পাওয়ার খবর পান।
গোয়েটলার ও স্টেকের বলা কথা বর্ণনা করে
জেনিফার বলেন, লাশগুলো এখনও নীল বরফে আটকে
আছে, তবে আস্তে আস্তে হিমবাহ থেকে বের হয়ে
আসছে।