জনতার বাণী
নিউজ,
ডেস্ক
:
মানবপাচারকারীদের
খপ্পরে
পড়ে
সাগরে
ভেসে
বেড়াচ্ছেন হাজার হাজার
বাংলাদেশি ও
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা
মুসলিম। মালয়েশিয়া যাওয়ার
স্বপ্ন নিয়ে অজানা পথে
পাড়ি দেওয়া ওই
হতভাগাদের ঠাঁই দিচ্ছে না
কোনো দেশ।
চালকহীন নৌযানে সাগরের
বুকে মৃত্যুর দিন গুনছে তারা।
শনিবার থাই উপকূলের একটি
নৌকা থেকে তাদেরকে
তাড়িয়ে দেয় থাই
নৌবাহিনী। এরপর
মালয়েশিয়ার নৌবাহিনীর
একটি জাহাজ নৌকাটিকে
আটক করে।
পরে মালয়েশিয়া সরকারের
নির্দেশে নৌকাটিকে
সমুদ্রের দিকে ঠেলে দেয়া
হয়, যদিও সর্বশেষ এর আগেই
জাতিসংঘের জরুরি উদ্ধার
তৎপরতার আহ্বান
জানিয়েছিল।
মানব পাচারের বিরুদ্ধে থাই
সরকারে কঠোর অবস্থানের
কারণে পাচারকারীরা
তাদের নৌকাটি পরিত্যক্ত
অবস্থায় রেখে গেলে
হাজার হাজার অভিবাসী
আন্দামান সাগরে অসহায়
অবস্থায় ভাসতে থাকে।
এসময় অনেক অভিবাসী প্রখর
রোদ ও খাবার পানির
অভাবে তৃষ্ণার্ত এবং অসুস্থ
হয়ে পড়েছেন।
প্রখর রোদে নৌকার ডেকের
উপর অভিবাসীরা
দৃশ্যমানভাবেই দুর্দশাগ্রস্ত ও
বিপদের মধ্যে ছিল।
রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী
জানান, নারীদেরকে এসময়
চিৎকার করে কাঁদতে দেখা
গেছে। তাদের অনেকে হাত
তুলে কান্না করছিল।
দিনের পর দিন এভাবে
ভাসতে থাকা
অভিবাসীদের নৌকা থাই
নৌবাহিনী অন্তত দুবার
সমুদ্রের দিকে তাড়িয়ে দেয়
এবং প্রতিবারই তারা
নৌকার ইঞ্জিন মেরামত করে
দেয় এবং খাদ্য ও পানির
সঙ্গে জ্বালানী সরবরাহ করে
থাই উপকূল থেকে বের করে
দেয়।
রয়টার্সকে থাই নৌবহিনীর
একজন কর্মকর্তা জানান,
অভিবাসীরা শনিবার থাই
নৌবাহিনীকে জানায় যে,
তারা মালয়েশিয়া যেতে
চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের
ইঞ্জিন মেরামত করে দেয়ার
পর মালয়েশিয়ার যাওয়ার
রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছি।’
তবে মালয়েশিয়ার
কর্মকর্তারা তাদের সাথে
কী আচরণ করেছেন তা স্পষ্ট নয়।
তবে এর আগে দেশটি স্পষ্ট
করেই বলেছে যে তারা
কোনো অভিবাসীকে গ্রহণ
করতে ইচ্ছুক নয়।
সম্প্রতি মিয়ানমারের
নিপীড়িত রোহিঙ্গা মুসলিম
সম্প্রদায় এবং বহু
বাংলাদেশি জীবনের ঝুঁকি
নিয়ে থাইল্যান্ড হয়ে
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য
সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছে। কিন্তু আদম
পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে
তাদের স্থান হচ্ছে নির্যাতন
কেন্দ্রে কিংবা সমুদ্রের
অথৈ জলরাশিতে।
বহু অভিবাসী মাসের পর
নৌকায় করে সমুদ্রে
ভেসেছেন, অনেকের সলিল
সমাধি হয়েছে।
কিন্তু সম্পদশালী
মালয়েশিয়া কিংবা
তুলনামূলক স্বচ্ছল
ইন্দোনেশিয়ায় তারা আশ্রয়
পাচ্ছেন না। তাদের উপকূল
থেকে তাড়িয়ে দেয়া
হচ্ছে। আর বৌদ্ধপ্রধান
থাইল্যান্ড তাদের আশ্রয়
দেবে-এমনটা না ভাবাই
যুক্তিসংগত।
মিয়ানমারের বৌদ্ধদের
দ্বারা নিগৃহীত হয়ে গত তিন
বছরে অন্তত ১,২০,০০০
রোহিঙ্গা দেশ ছেড়েছেন।
