নিজস্ব প্রতিবেদক: তিনি পথসভায় যোগদিলে হয়ে যায় জনসভা, তিনি হাঁটলে রাজপথে হয়ে যায় মিছিল, তাঁর বজ্রকণ্ঠে জাগ্রত হয় হাজারো মুজিব আদর্শের সৈনিক, তাঁর রয়েছে আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা। উপজেলা আ.লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের শেষ আশ্রয়স্থল তিনি।
তিনি পরিচ্ছন্ন মেধাবী ও দক্ষ সংগঠক। কিয়ংবদন্তি নেতা হিসেবে যার সমগ্র জেলাব্যাপি পরিচিতি তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন, রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী। বাঘা উপজেলা আ.লীগ সহসভাপতি ও জেলা আ.লীগের অন্যতম সদস্য এই নেতার সম্প্রতি দুইটি জাতীয় দিবস (২১ ফেব্রুয়ারী ও ১৭ মার্চ) পালনের পর এখন উপজেলা ব্যাপি তাঁকে ঘিরেই চলছে আলাপ আলোচনা, জল্পনা কল্পনা । চায়ের স্টল থেকে সুপারসপ, ফুটপাত থেকে রাজপথ সর্বত্রই তিনি এখন আলোচনার কেঁন্দ্রবিন্দুতে।
এই জনপদের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, বাঘায় আ.লীগে এখন নেতার অভাব নেই। দু`এক দিন দলীয় কোন কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করে, নেতা- নেত্রীর ছবি সম্মিলিত ব্যানার ফেস্টুন গাছের মাথায় টানিয়ে, অমুক ভাই-তমুক ভাই`র সাথে সেলফি ও ফেইসবুকে মনোমুগ্ধকর পোস্ট দিয়ে অনেকেই এখন নেতা বনে গেছেন। শুধু নেতাই নন, তারা জননেতা, জনতার নেতা, গণ মানুষের নেতা, সমাজ গড়ার কারিগর এমন নানান খেতাবে অলংকৃতও হয়েছেন। আসলে এগুলো হয়েছে তথাকথিত কিছু রাজনীতিবীদ নামধারি জ্ঞানপাপীদের উদাসীনতা আর দল ভারীর অসুস্থ্য প্রতিযোগিতার ফল। যার ফলশ্রুতিতে প্রকৃত রাজনৈতিক নেতাদের পবিত্র খেতাবগুলো আজ বাজারের সস্তা পণ্যরুপে পরিনত হয়েছে।
প্রকৃতঅর্থে যারা যুগে যুগে জননেতা হয়েছেন, গণ মানুষের আস্থার ঠিকানা হয়েছেন, তাদের ইতিহাস অনেক লম্বা অনেক দীর্ঘ।অবর্ণনীয় ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সাধনার। সে সকল নেতারা কখনো বিপ্লবী ধারায় দখলদার হঠানোর লড়াইয়ে জীবন বাজি রেখেছেন। আবার শোষকের শোষন থেকে শোষিতের মুক্তির লক্ষ্যে জনতার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। কখনও বা জনগনের অধিকার আদায় করতে গিয়ে জেল-জুলুম ও নির্যাতন ভোগ করতে হয়েছে তাদের । যাদের হৃদয়ে শুধু বঞ্চিত মানুষের কল্যানে সাম্যের সুর ধ্বনিত হয়। যাদের রক্তের শিরায় শিরায় প্রবাহিত হয় নিপিরিত মানুষের মুক্তির ঢেউ।
এমনই চারিত্রীক গুনাবলী সমৃদ্ধ নেতা আক্কাছ আলী। অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, শৈশব থেকেই আক্কাছ পারিবারিক শিক্ষা নিয়ে মানবতার জয়গানে নিজেকে উৎসর্গ করেন। ফুটপাত থেকে রাজপথ, যেখানেই তার পদচারনার শব্দ ধ্বনিত হয়, সেখানেই হাজার হাজার জনতার সমাগম ঘটে। বার বার জীবন ঝুঁকিতে পরেও কোন অবস্থাতেই তিনি জনতার কাতার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেননাই। মৃত্যুভয় কখনো তাকে তাড়া করেনি। শত্রুর রক্ত চক্ষুও তার গতি থামাতে পারেনি। যুগের পর যুগ জনতার মাঝে জনসেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে তিনি হয়েছেন একজন জননেতা। হয়েছেন লক্ষ জনতার কাঙ্খিত নেতা, প্রানের নেতা, গণ মানুষের নেতা।
মনিগ্রাম এলাকার আফাজ আলী বলেন, আক্কাছ আলী এ জনপদের জননন্দিত নেতা। সময়ের সাহসী সন্তান। প্রকৃত অর্থেই তিনি একজন জনতার নেতা, গণ মানুষের নেতা, হাজারো অসহায়ের ভরসারস্থল, মুজিবাদর্শের লড়াকু সৈনিক, জননেত্রী শেখ হাসিনার গত তিন যুগের পরম বিশ্বাসের অদম্য সাহসী এক ত্যাগী সিপাহসালার। সুখে-দুখে, দুর্যোগ-দুঃসময়ে হাজারো মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নিবেদিত প্রান। যিনি সব বয়সের, সকল শ্রেনি-পেশার মানুষের প্রিয় ও আস্থাভাজন।
সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মাইনুল ইসলাম মুক্তা বলেন, আক্কাছ আলীর মাধ্যমেই আমরা জয় বাংলা শ্লোগান শিখেছি। তার মাধ্যমেই শিখেছি কিভাবে আর্ত মানবতার সেবাই এগিয়ে আসতে হয়। কিভাবে জনগনকে ভালবাসতে হয়। তিনি আমাদের তরুন সমাজের অহংকার।
বাঘা বাজারের এক প্রবীন চা বিক্রেতা বলেন, আক্কাছ আলী গরীব অসহায়ের বন্ধু। তাঁর নিকট কেউ গেলে তিনি মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনেন। কখনও কখনও কারো অতি অসহায়ত্বের কথা শুনলে তাকে সন্তোষজনক আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেন তৎক্ষনাত।
আর সে কারনেই দিনে দিনে তিনি জননেতা খেতাবে ভুষিত হয়েছেন। দীর্ঘ ইতিহাসের পথ পেরিয়ে আজ তিনি জননেতা, বারংবার হয়েছেন জনপ্রতিনিধি।
নারায়নপুর এলাকার আব্দুল আলীম বলেন, তৃণমূল থেকেই তাঁর রাজনৈতিক উত্থান ।তাইতো এ জনপদে যখন যেখানে তাঁর পদচারনার সংবাদ ভাসে, তখন ওই এলাকা জনস্রতে মুখরিত হয়। যার জনপ্রিয়তার বাস্তবতার আরেকধাপ প্রতিফলন ঘটে গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্যাতীক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস এবং ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মদিন পালনকালে। তৃনমুল পর্যায়ে যখন ধ্বনিত হয়েছে নেতা যাবেন শহীদ মিনারে, নেতা যাবেন শ্রদ্ধাঞ্জলী জানাতে, তখন হাজার হাজার জনতার ঢল নামে তাঁর বাসায়।
চকছাতারী গ্রামের সেলিম বলেন, স্কুল জীবনেই ছাত্রলীগের সকল মিছিল,মিটিং শোভাযাত্রা, সভা , সমাবেশে অংশ গ্রহন করতেন তিনি। ৯০`র দশকে বাঘাসহ সারাদেশে আওয়ামী পরিবার ছিল এক ভয়ংকর ভীত সন্ত্রস্ত পরিবেশে। সেই সময় তিনি বাঘা শাহদৌলা ডিগ্রী ( বর্তমান সরকারি) কলেজের ছাত্রসংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। তাঁর ছাত্র রাজনীতির দুর দর্শিতায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ সর্বোপরি আ.য়ামি রাজনীতিতে আমুল পরিবর্তন আসে। তাঁর নেতৃত্বেই প্রান ফিরে পায় ঝিমিয়ে পরা সংগঠন। সব মিলিয়ে তাঁর সু-দীর্ঘ রাজনৈতিক কর্মকান্ডে এই জনপদের কিয়ংবদন্তী জননেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন ।
গাঁওপাড়া গ্রামের সাইফুল বলেন, ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দিয়েই প্রতিপক্ষের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন কিয়ংবদন্তি এই নেতা। তাঁর অনবদ্য ও দক্ষ নেতৃত্তের কারনে খুব অল্প সময়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সামর্থ হয়েছেন। যার কারনে শুধুমাত্র বিরোধী রাজনৈতিক দলেরই নয়, নিজ দলের প্রতিপক্ষেরও ভয়ংকর টার্গেট হতে হয়েছে তাঁকে। বারবার হামলা মামলা হুমকি ও ঘৃন্য চক্রান্তের সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। তারপরেও চরম শত্রুদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজনীতির মাঠে এখনও সক্রিয় তিনি । শুধু আন্দোলন সংগ্রাম নয়, রাজনিতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থেকেও নজর কেড়েছেন সব বয়সি মানুষদের। পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কলিগ্রাম এলাকার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্ম তাঁর। পিতা মরহুম চৈতি মন্ডলও ছিলেন একজন পরিচ্ছন্ন মুজিব প্রেমিক।
দীর্ঘদিনের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জিবিত জননেত্রী শেখ হাসিনার পরীক্ষিত ও নিবেদিত সৈনিক আক্কাছ আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতিতে নেমেছি। রাজনীতির নামে লুটেরা-দুর্বৃত্তদের প্রতিহত করে সুস্থ ধারার রাজনীতির চর্চাই আমার জীবনের লক্ষ্য। আমৃত্যু যেনো জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করতে পারি সেই সেই প্রত্যাশায় করি । তিনি আরও বলেন, দেশের তরুণ প্রজন্ম ও যুব সমাজ যাতে অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর উপযুক্ত হয়ে গড়ে উঠতে পারে সেজন্য তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে হবে।
এ উপজেলায় সাম্প্রতিক সময়ে সম্মেলন কে কেন্দ্র করে আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের রাজনীতিতে এক নতুন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দলটির তৃণমূল পর্যায়ের নিবেদিত নেতাকর্মীদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ নেতৃবৃন্দও মনে করছেন, দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ পরীক্ষিত নেতাকর্মিদের সমন্বয়ে নতুন করে দল গোছানোর উপযুক্ত সময় এখনই।
এ বিষয়ে উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন, বাঘা উপজেলা আ.লীগে এখন বড় কোন বিভেদ নেই। ছোট খাট কিছু সমস্যা থাকতেই পারে।আ.লীগের আসন্ন উপজেলা সম্মেলনে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদেরকে মূল্যায়ন করবার নির্দেশনা কেন্দ্র থেকেই রয়েছে । সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছে উপজেলা আ.লীগ।