রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউপি’র চোমাদিয়া চর এলাকায় খলিল ব্যাপারী ও সোলেমান দেওয়ানের লোকদের মধ্যে জমিদখল নিয়ে সংঘষের্র ঘটনা ঘটে। রবিবার (২৮-২-২০২১) বেলা ১১ টায় সংঘর্ষে ৪ জন গুলিব্ধি সহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে ।
আহতদের উপজেলা স্বাস্থ কমপেক্সে নিয়ে আসা হলে গুলিবিদ্ধ চারজনকে আশঙ্খা জনক অবস্থায় রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে । খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের মাধ্যমে জানা যায়, উপজেলার চকরাজাপুর ইউপি’র চোমাদিয়া চর এলাকায় খলিল ব্যাপারী ও সোলেমান দেওয়ানের মধ্যে জমি-জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল । এর জের ধরে গত রবিবার বেলা ১১টায় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন পিস্তুল, হাসুয়া, লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রনিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে গলি বৃদ্ধ হয় অলি ঢালির ছেলে লিটন ঢালি (২৯), দিন ইসলাম ঢালির স্ত্রী মরিয়ম(৪৫), আদম ঢালির ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ঢালি
(৩৩) ও শামসুল দর্জির ছেলে দুলাল দর্জি (৩০) । অন্যান্য আহতরা হলেন- নুরুল দর্জির ছেলে ইদ্রিস দর্জি (৩০), শাহাজান সরকারের ছেলে বাভেল সরকার(২৫), শিকিম আলীর ছেলে ইয়ার দর্জি (৪০), আদম ব্যাপারির ছেলে ইব্রাহিম (২৬), দ্বিন ইসলামের ছেলে মজনু দর্জি (৩২), সহ প্রায় ১৫ জন।
আহত মজনু ব্যাপারি জানান, আমার কলার ক্ষেতের সাথে সলেমান দেওয়ান ও সুফিয়ান দেওয়ানের জমি রয়েছে তাদের জমিতে আগাছা পরিষ্কার করার জন্য আগুন দিয়ে আমার কলার ক্ষেত পুড়ে যায়। পরে বিষয়টি আমি জানতে গেলে আমাকে সলেমানের লোকজন হাতুড়ি
দিয়ে মারপিট করে। এ খবর শুনে আমার আত্বীয়রা সেখানে গেলে তাদেরও পিস্তল দিয়ে গুলি করে এবং হাতুড়ি ও হাসুয়া দিয়ে হামলা করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোলাইমান হোসেন বলেন, গুলিবিদ্ধ ৪ জনকে রামেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে ও বাঁকিদের এখানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় অফিযোগ দায়ের করেনি
অফিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।