মানবাধিকার সংবাদ :রাজশাহীর বাঘায় ভাবী মর্জিনা বেগমকে নির্যাতনের অভিযোগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে দেবর জহুরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। পরে এই নির্যাতনে অভিযোগে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
জানা যায়, বাঘা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে মর্জিনা বেগমের লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর ষ্টেশন এলাকার চন্ডিগাছা গ্রামের ইছাহক মোল্লার সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে আসে। তার কিছু দিন পর স্বামী ইছাহাক মোল্লা বার্ধক্য জনিত রোগে মারা যায়। মর্জিনা বেগম স্বামীর বসত ভিটায় দুই সন্তান নিয়ে দর্জির কাজ করে জিবীকা নির্বাহ করতেন। মাঝে মধ্যে কারণে অকারণে স্বামীর বাড়ির লোকজন অর্থাৎ দেবর, দেবরের ছেলে, ননদ, ননদের ছেলে তাকে নির্যাতন করে।
গত ২৮ মার্চ মর্জিনা বেগম পাশের বাড়ির জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক ব্যাক্তিকে দিয়ে বাজার করিয়ে নেয়। এ নিয়ে দেবর জহুরুল ইসলামের সাথে মর্জিনা বেগমের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বেধড়ক মারধর করে অমানষিক নির্যাতন চালায়। ফলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মর্জিনা বেগম। পরে তার মাথার চুলও কেটে দেয়া হয়। আহত অবস্থায় তাকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চারদিন চিকিৎসা নেয়ার পর বাবার বাড়িতে পালিয়ে যায় মর্জিনা। তার অবস্থা বেগতিক দেখে বাবার বাড়ির লোকজন তাকে পূনরায় বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ মার্চ বাঘায় এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি’র কাছে নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে অভিযোগ করেন মর্জিনা বেগম। ঘটনাটি পুলিশকে তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়ে নির্যাতনকারিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। ওই দিন রাতে দেবর জহুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে লালপুর থানার পুলিশ। এ বিষয়ে মর্জিনা বেগম বাদি হয়ে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ওবায়েদ জানান, মর্জিনা বেগমের স্বামীর মৃত্যুর পর জমিজমার বিষয় নিয়ে দেবর জহুরুল ইসলামের সাথে দ্বন্দ্ব চলছিল। ফলে প্রতিবেশি এক ব্যাক্তিকে দিয়ে বাজার করিয়ে নেয়ার কারণে তার উপর নির্যাতন চালানো হয়। এই ঘটনায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে দেবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অন্যদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল হাসান রেজা। সি/সি এন