জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি :
বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টেআন্তর্জাতিক আইন লঙ্গঘন করে ফের স্থল মাইন বসাচ্ছে মায়ানমার
সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি)। ইতিমধ্যে মায়ানমার সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বৌদ্ধদের বর্বোরচিত হত্যাযজ্ঞ থেকে
বাঁচতে সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে আটকা পড়েছে ২৫ হাজার রোহিঙ্গা। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার তুমব্ধসঢ়;রু সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ড ও বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমার সেনাসদস্যদের একটি দল লাইন করে তাদের সীমান্তে টহল দিচ্ছে এবং সীমান্তে স্থলমাইন পুঁতে রাখছে সেনাবাহিনী। সীমান্তের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে সেনা অবস্থান না করার নিয়ম থাকলেও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তাও মানছে না। এদিকে নতুন করে মাইন বিষ্ফোরণে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার
দিকে চাকঢালা সীমান্তের বড়ছনখোলা এলাকার জিরো পয়েন্টে নুর আলম নামের এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়। এর আগেও একই স্থানে নিহত হয় বাংলাদেশী নাগরিক হাশেম উল্লাহ। মাঝে কিছুদিন মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা বন্ধ থাকলেও আবারো মাইন বিস্ফোরনের ঘটনায় আতংকে রয়েছে জিরো পয়েন্টে বসবাসকারীরা। চাকঢালা সীমান্তের বড় ছনখোলা শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নুর মুহাম্মদ জানান, সীমান্তে শুধু কাঁটাতারের বেড়া নয়, যেসব জায়গা দিয়ে মানুষ চলাচল করে এবং রোহিঙ্গারা যেসব রাস্তা ধরে বাংলাদেশে আসছে সেসব জায়গাগুলোতে নতুন করে মাইন ও বিস্ফোরক পুতে রাখা হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর এম. আশরাফ আলী পিপিএম, বিজিবিএম মুঠোফোনে জানায়, মঙ্গলবার মায়ানমারের অভ্যন্তরে আবারো জিরো পয়েন্টে মাইন বিস্ফেরণে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে। যেহেতু ঘটনাটি বাংলাদেশের ভিতরে নয়, তাই লাশটি গ্রহণ করা হয়নি। তবে সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সতর্ক পাহারায় রয়েছে।