বাংলাদেশ ইসলামী শিক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক
অধ্যাপক মাওলানা ফজলুল করিম গতকাল এক বিবৃতিতে
বলেন, নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান
আলী স্টেডিয়ামে ক্রিকেট ম্যাচের নিরাপত্তার
কথা বলে মাদরাসা বন্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের আমরা
তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। মাদরাসা শিক্ষার সাথে যুক্ত
বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে মতবিনিময়
করে ইসলামী শিক্ষা পরিষদ নেতৃবৃন্দ স্পষ্ট করে
বলতে চাই। মধ্য জুনে ভারত-বাংলাদেশ ওয়ানডে
ম্যাচের জন্য বিশেষ করে ভারতীয় টিমের
নিরাপত্তার জন্য ফতুল্লা স্টেডিয়ামের এলাকায়
রওজাতুস সালেহীন আলিম মাদরাসা বন্ধ রাখার নির্দেশ
দিয়ে সরকার অবিবেচকের মতো কাজ করেছে।
যদি নিরাপত্তার প্রয়োজনে গোটা স্টেডিয়াম
এলাকায় বিধি-নিষেধ আরোপ করা হোক কিন্তু শুধু
মাদরাসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত মুসলমানরা মেনে নেবে
না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোনো শিক্ষা-
প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা নিরপরাধ ব্যক্তির উপর
নিষেধাজ্ঞা জারি করা অবমাননাকর এবং অমানবিক।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরের দিনে
ভারতীয় টিমের নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশে মাদরাসা
বন্ধের সংবাদ প্রকাশ ও বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশ
ক্রিকেট বোর্ডের জনৈক কর্মকর্তার ইংগিতপূর্ণ
মন্তব্য দেশ ও জাতির জন্য নিতান্ত লজ্জাজনক। এটি
দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে একটি চক্রান্ত। বাংলাদেশের
শান্তি ও সম্প্রীতিপ্রিয় জনগণের ইমেজকে
ভূলুণ্ঠিত করার জন্যই নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন এমন
হীন সিদ্ধান্ত মাদরাসার উপর চাপিয়ে দিতে চেষ্টা
করছে।১০ থেকে ১৪ জুন ছাত্রদের পরীক্ষা
নষ্ট করে ৭০০ ছাত্রের শিক্ষাজীবন ধ্বংস করে
বিশ্বব্যাপী এ দেশের ধর্মীয় শ্রেণী,
মসজিদ, মাদরাসা, আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষকে
সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত করার
প্রয়াস কোনো বিবেকবান মানুষই সমর্থন করতে
পারে না। এ সিদ্ধান্ত ইসলামবিদ্বেষী শক্তির হীন
ষড়যন্ত্রের অংশ ছাড়া আর কিছুই নয়।আমরা অবিলম্বে
এ নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাই। ভারতীয়
ক্রিকেট টিমের নিরাপত্তার জন্য সরকার যা
প্রয়োজন সব করলেও এ দেশের ৯২ ভাগ
মুসলমানের ধর্মীয় শিক্ষা ও আদর্শকে খাটো
করতে পারে না। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এ
বিষয়টির প্রতি নজর দিতে বলবো। বাংলাদেশের
লাখো মাদরাসা শিক্ষক, কোটি শিক্ষার্থী ও অগণিত
অভিভাবক এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
Home > শিক্ষাঙ্গন > ফতুল্লায় মাদরাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত দেশ ও জাতির
বিরুদ্ধে চক্রান্ত -ইসলামী শিক্ষা পরিষদ